ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫ , ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
জাতীয় স্মৃতিসৌধে সর্বসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীতে আ.লীগের ঝটিকা মিছিল দুর্ঘটনা ও অপরাধ সংঘটনে বেশি দায়ী মোটরসাইকেল বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র চট্টগ্রাম ওয়াসায় বকেয়া ১৬০ কোটি টাকা ২ হাজার কোটি টাকার মালিক রাজউকের জাফর সাদিক দিঘলিয়ায় আমগাছে মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ সিরাজগঞ্জে অভিযানে বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ ইটভাটা রামগতি পৌরসভা হাটবাজার ইজারা সিন্ডিকেটের কবলে সদরপুরে বেড়েছে কালো সোনা খ্যাত পেঁয়াজ বীজের আবাদ স্থিতিশীলতা রক্ষার্থে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করা উচিত-মির্জা ফখরুল এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৯০ হাজার প্রত্যাহার হচ্ছে ছয় সহস্রাধিক রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা পুলিশ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আজ জরুরি বৈঠকে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা চার দিনের সফর শেষে ঢাকা ছাড়লেন জাতিসংঘের মহাসচিব আনন্দ করার মেজাজে নাই, স্বাধীনতা দিবসে কুচকাওয়াজ হচ্ছে না : স্বরাষ্ট্রসচিব ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল শিক্ষার্থীদের জীবন নিয়ে শঙ্কা কবিরাজের কাছে গিয়ে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ দেশজুড়ে অপরাধ বাড়াচ্ছে পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র

সদরপুরে বেড়েছে কালো সোনা খ্যাত পেঁয়াজ বীজের আবাদ

  • আপলোড সময় : ১৭-০৩-২০২৫ ০৯:২৬:৪০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৭-০৩-২০২৫ ০৯:২৬:৪০ অপরাহ্ন
সদরপুরে বেড়েছে কালো সোনা খ্যাত পেঁয়াজ বীজের আবাদ
ফরিদপুর প্রতিনিধি
এবছর ‘কালো সোনা’ খ্যাত পেঁয়াজ বীজের বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা করছেন ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষকরা। পেঁয়াজের সাদা অংশ শুকিয়ে বের হয় কালো বীজ, যার বাজারদর আকাশছোঁয়া। তাই এ বীজকে বলা হয় ‘কালো সোনা’। দিনে দিনে পেঁয়াজ বীজের আবাদ বেড়েছে উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে। এই ফসল চাষে লাভের পরিমাণ বেশি হওয়ায় পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনে ঝুঁকছেন অনেকেই। সারা দেশে পেঁয়াজ বীজের চাহিদার ৬০ শতাংশ জোগান আসে এ ফরিদপুর জেলা থেকে। কৃষকরা এবার ভালো ফলন ও দাম পাওয়ার আশায় বুক বেঁধেছেন। তাই পেঁয়াজ বীজের গাছ পরিচর্যা করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তারা।
সরজমিনে উপজেলার কৃষ্ণপুর, সদরপুর ও ঢেউখালি, চরবিষ্ণপুর ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, এই উপজেলার উৎপাদিত পেঁয়াজ বীজ গুণমানে অন্যতম। তাই এখানকার পেঁয়াজ বীজ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। এরই মধ্যে পেঁয়াজ বীজ আবাদ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন স্থানীয় অনেক কৃষক। এতে করে তাদের সংসারে আর্থিক সচ্ছলতা ফিরেছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪৭০ হেক্টর জমিতে। অর্জন হয়েছে ১৬৭০ হেক্টর জমিতে। বীজের আবাদ হয়েছে ৩৮০ হেক্টর জমিতে।
কৃষকরা জানান, জমি চাষ, বীজ, রোপণ খরচ, সার ও কীটনাশক, সেচ, নিড়ানি, বাঁশ, সুতলিসহ এবার প্রতি বিঘায় খরচ দাঁড়াবে এক লাখ টাকা। প্রতি বিঘায় ২২ থেকে ২৪ কেজি বীজ পাবেন। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বীজ সর্বনিম্ন দেড় হাজার টাকা দরে বিক্রি করতে পারবেন। সদর ইউনিয়নের পূর্ব শ্যামপুর গ্রামের কৃষক রব বেপারী জানান, গত বছর এক একর প্রতি জমিতে খরচ হয়েছে দেড় লাখ টাকার মতো। প্রতি একরে গড়ে ৩০০ কেজি বীজ পাওয়া গিয়েছিল। এ ছাড়া গত বছর মৌসুমের শুরুতে পেঁয়াজ বীজ বিক্রি হয়েছিল ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা কেজি দরে। এ বছর বীজের দাম কিছুটা বাড়বে বলে মনে করছেন চাষিরা।
কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কাটাখালি গ্রামের কৃষক আলাউদ্দিন মাতুব্বর বলেন, এ বছর বীজ, সার ও সেচ কাজে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। এ ছাড়া শ্রমিককের মজুরি বেশি হওয়ায় বীজ উৎপাদনে খরচ বেড়েছে। তবে সরকার বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করলে পেঁয়াজ ও পেঁয়াজ বীজের আবাদ আরও বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে। সদর ইউনিয়নের পশ্চিম শ্যামপুর গ্রামের কৃষক মো. মাইনুদ্দিন বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ পেঁয়াজ বীজের আবাদ করে থাকি। এই ফসল চাষ করে লাভবান হয়েছি। এ বছর ১৫ শতাংশ জমিতে পেঁয়াজের বীজ চাষ করেছি। চরবিষ্ণপুর ইউনিয়নের জামতলা গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, এ বছর ৪৩ শতাংশ জমিতে আমি পেঁয়াজ বীজ চাষ করেছি। খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছি। বিভিন্ন রোগবালাইয়ের জন্য কীটনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে দেড় লাখ টাকার ওপরে বীজ বিক্রির আশা করছেন তিনি। ঢেউখালি ইউনিয়নের পিয়াজখালি গ্রামের ইমান খাঁন চাষ করেছিলেন পেঁয়াজের বীজ। গত বছর এক বিঘা জমিতে চাষ করে লাভবান হয়েছিলেন তিনি। তাই এ বছর দেড় বিঘা জমিতে করেছেন পেঁয়াজ বীজের চাষ।
তিনি বলেন, গত বছর বীজ বিক্রি করে লাভ হয়েছিল ৮৫ হাজার টাকা। তাই এ বছর নিজের ও লিজ নেয়া জমিতে চাষ করেছি পেঁয়াজ বীজের। এক বিঘা জমিতে তার সব মিলিয়ে খরচ হয়েছিল ৫৮ হাজার টাকা। এই ফসলের পরিচর্যা বেশি লাগে। পরিচর্যার অভাব হলে ফলন কমে যাবে। সময়মতো কীটনাশক দিতে হবে।
সদরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিটুল রায় বলেন, এই উপজেলায় পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনে কৃষক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। কৃষি বিভাগ নিয়মিতভাবে পরামর্শ প্রদান করছে। কৃষক উৎপাদিত বীজ প্যাকেট জাত করে সিড সার্টিফিকেশনের মাধ্যমে বীজ ব্যবস্থাপনা ও বিপণনে বেশ ভালো ভূমিকা পালন করছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য